১৫১ ওভারে ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল বাংলাদেশ। প্রত্যাশা ছিল ৫০০ রানের। কিন্তু গতকাল বিকালের ব্যাটিং ধসে ৪৯৫ রানেই থেমে গেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের সকালে যোগ করলো মোটে ১১ রান। কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৮ বলে শূন্য রান করা নাহিদ রানা। এর মধ্য দিয়ে শেষ উইকেটটি হারিয়ে দলীয় ৪৯৫ রানেই শেষ হলো বাংলাদেশের ১ম ইনিংস। আসিথা ফার্নান্দো নিয়েছেন ৪ উইকেট। হাসান মাহমুদ অপরাজিত ছিলেন ৭ রানে।
লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচশো ছাড়ানো ইনিংসের সংখ্যা খুব বেশি নয়। ২০১৩ সালে গল টেস্টের ৬৩৮, এরপর ২০১৮ সালে করা ৫১৩ আর ২০২১ সালে ৫৪১/৭, এই তো! আজ গলে সে সংখ্যাটা চারে উন্নীত করার সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ চেয়ে ছিল সে মাইলফলকটাতেই।
সেটা করতে হলে আজ প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। দিনের দ্বিতীয় বলেই ভাগ্যগুণে একটা চার পেয়ে যায় বাংলাদেশ। আসিথা ফার্নান্দোর ডেলিভারি হাসান মাহমুদের ব্যাটের নিচের কানায় লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। সে ওভার থেকে আসে আরও এক রান।
পরের ওভারে আসে আরো এক রান। আসিথার করা দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে বাই থেকে আসে আরও একটি চার। তাতে মনে হচ্ছিল ভাগ্যের ছোঁয়াতেই বুঝি ৫০০ ছুঁয়ে ফেলবে বাংলাদেশ।
তবে সেটা শেষমেশ হয়নি। সে চারের দুই বল পর স্ট্রাইকে এসে নাহিদ রানা লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ব্যাট ছুঁইয়ে দেন। তা গিয়ে জমা পড়ে উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের হাতে। বাংলাদেশ অলআউট হয় ৫০০ থেকে ৫ রানের দূরত্বে থেকে।
পাঁচশো না হলেও পুঁজিটা মন্দ হয়নি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় রান। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে স্বস্তি দিতে পারে একটা তথ্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যখনই ৪৫০ রানের বেশি করেছে বাংলাদেশ, সে ম্যাচে হারেনি দল। একমাত্র যে টেস্টটা জিতেছে, সে টেস্টে বাংলাদেশ ৪৬৭ রান তুলেছিল প্রথম ইনিংসে।
সেসব অবশ্য কেবলই তথ্য। মাঠের খেলায় এখন বাকি কাজটা সারতে হবে বাংলাদেশকে।
দিনের শুরুতে ব্যাট হাতে দলকে খুব বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি হাসান আর নাহিদ। তাদের মূল কাজটা শুরু এখন। বল হাতে দলকে ভালো শুরু এনে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব এখন তাদের কাঁধে।
কেকে/এআর